সুন্দরবনের ফুল থেকে সংগৃহীত খাঁটি প্রাকৃতিক মধু

সুন্দরবনের মধু — একটি প্রকৃতির উপহার, যা শুধু পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন থেকেই সংগ্রহ করা হয়। এর রং সাধারণত হালকা পীতাভ-বাদামী, আর স্বাদে মিষ্টির সঙ্গে টকটকে ও হালকা ঝাঁজের অনন্য এক সমন্বয়।আমরা যখন খাঁটি বা অর্গানিক মধু বলি, তখন বুঝি এমন এক প্রাকৃতিক মধু, যা বনজ ফুল যেমন খলিশা, কেওড়া, গরান, পশুর, লতা ইত্যাদি গাছের নেকটার থেকে মৌমাছিরা সংগ্রহ করে। এই মধু সংগ্রহের সবচেয়ে বড় উৎস আমাদের সুন্দরবন।বাংলাদেশে সুন্দরবনের মধু সংগ্রহের ইতিহাস শতাব্দীপ্রাচীন—১৮৬০ সাল থেকে এই প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করা হচ্ছে। প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার কেজি মধু সংগ্রহ হয় এখান থেকে।
সুন্দরবনের মধুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য

1. 
   
   এই মধু আবহাওয়ার প্রভাবে সবসময়ই তুলনামূলকভাবে পাতলা হয়ে থাকে।
2. মৌসুমের শুরুতে রং হয় কিছুটা সাদাটে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা লালচে বা বাদামি হয়ে যায়।
3. এতে থাকে বুনো ফুলের ঘ্রাণ ও স্বাদের বৈচিত্র্য।
4. বোতলে ঝাঁকালে মাঝে মাঝে হালকা ফেনা দেখা দেয়।
5. উপরে পলেনের একটি স্তর দেখা যায়, যা প্রাকৃতিকতা বোঝায়।
6. এর স্বাদে মিষ্টির পাশাপাশি টক ও ঝাঁজের হালকা ছোঁয়া থাকে।
7. মৌসুম শেষে আবহাওয়ার কারণে রঙ ও ঘনত্বে কিছুটা ভিন্নতা আসতে পারে।

পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

1. সুন্দরবনের খাঁটি মধু শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্য উপকারিতায়ও অনন্য। পুষ্টিবিদদের মতে, এই মধু নিয়মিত সেবনে দেহের নানা উপকার হয়, যেমনঃ
   রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
2. রক্ত চলাচল উন্নত করে
3. হজম শক্তি বাড়ায়
4. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে
5. ত্বকের দাগ দূর করতে সহায়ক
6. দেহকে রাখে প্রাণবন্ত ও সতেজ

খাঁটি মধু চিনবেন কীভাবে?

অনেকেই আগুন, পানি, পিঁপড়া, ফ্রিজ বা চুন দিয়ে খাঁটি মধু শনাক্ত করতে চান। কিন্তু বাস্তবে এসব পদ্ধতিতে মধুর বিশুদ্ধতা যাচাই করা যায় না।

২৫০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম এবং ১ কেজি